এসইও কি? সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে?

SEO মানে “সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন”। সহজ কথায়, এর অর্থ হল আপনার সাইটের ট্রাফিক এবং দৃশ্যমানতা বাড়ানোর জন্য যখন লোকেরা Google, Bing এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত পণ্য বা পরিষেবাগুলি অনুসন্ধান করে তখন এটির উন্নতি করার প্রক্রিয়াকেই এসইও বলা হয় ৷ সার্চের ফলাফলে আপনার ওয়েব সাইটের পন্য বা সার্ভিসের পেজগুলো যত সামনের দিকে থাকবে , তত ট্রাফিক পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

এসইও কি?

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO) হল সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্কিং এর জন্য কৌশল যা প্রয়োগ করে একটি ওয়েবসাইটে লক্ষ্যযুক্ত ট্রাফিক পাওয়া যায়। এসইও-এর সাথে যুক্ত সাধারণ কাজগুলির মধ্যে রয়েছে সার্চ ইঞ্জিন এবং কাস্টমারদের উপযোগী ভালমানের কনটেন্ট তৈরি করা, নির্দিষ্ট কীওয়ার্ডে কনটেন্ট অপ্টিমাইজ করা এবং ব্যাকলিংক তৈরি করা।

এসইও এবং পেইড ট্রাফিকের উদাহরণ

সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে?

এখন Google এর মত সার্চ ইঞ্জিন আসলে কিভাবে কাজ করে তা জানা জরুরী। আপনি যখন Google (বা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিন) এ কোন তথ্য বা অন্য কিছু অনুসন্ধান করেন, তখন একটি অ্যালগরিদম রিয়েল-টাইমে কাজ করে। অ্যালগরিদম আপনার সার্চের উপর বিবেচনা করে কাংখিত “সর্বোত্তম” ফলাফল Google এ দেখাবে।

Google শত শত বিলিয়ন ওয়েবসাইটের পেজ স্ক্যান করে তার ডাটাবেজে সংরক্ষন করে। যখন কেউ কোন কিছু লিখে সার্চ করে, তখন Google তার সংরক্ষিত ডাটাবেজ থেকে সবচেয়ে সর্বোত্তম ওয়েবসাইটের পেজ প্রদর্শন করে।

যেভাবে Google সার্চ রেজাল্ট নির্ধারন করে

যে কোন কিওয়ার্ডে গুগল রেজাল্ট পেজে কিভাবে ওয়েবসাইটের কনটেন্টকে র‍্যাংক করাবে সেটি গুগল প্রকাশ করে না। গুগলের বিভিন্ন অ্যালগরিদম এবং সার্চ প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করে এসইও স্পেশালিষ্টরা বেশ কিছু মাপকাঠি বের করতে সক্ষম হয়েছেন।

১) প্রাসঙ্গিকতা

আপনি যদি Google এ “সেন্টমার্টিন ভ্রমণ গাইড” অনুসন্ধান করেন, আপনি “ফার্নিচারের দাম” সম্পর্কে ওয়েব পৃষ্ঠাগুলি দেখতে কখনো চাইবেন না। আপনার সার্চের উপর ভিত্তি করেই Google তার সংরক্ষিত ওয়েবপেজ থেকে সবচেয়ে উপযুক্ত পেজ প্রথমে দেখাবে।

Google কেবল শীর্ষে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক পৃষ্ঠাগুলি র‌্যাঙ্ক করে না। কারণ প্রতিটি সার্চ টার্মের জন্য হাজার হাজার (বা লক্ষ লক্ষ) প্রাসঙ্গিক পৃষ্ঠা রয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, “সেন্টমার্টিন ভ্রমণ গাইড” কীওয়ার্ডটি Google-এ ২১,৪০০ টি ফলাফল নিয়ে আসে:

সেন্টমার্টিন ভ্রমণ গাইড” – SERPs

সুতরাং ফলাফলগুলিকে এমন একটি ক্রমানুসারে রাখতে সেরাটিকে শীর্ষে তুলে ধরে।

২) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞতা

বিষয়বস্তুটি সঠিক এবং বিশ্বস্ত কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য Google সার্চ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞতা উপর নির্ভর করে।

এখন প্রশ্ন হল, Google কিভাবে জানবে যে একটি ওয়েব সাইটের পৃষ্ঠা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ কিনা?

গুগল সেই পৃষ্ঠার সাথে লিঙ্ক করা অন্যান্য পৃষ্ঠাগুলির সংখ্যা দেখে। অন্যান্য পৃষ্ঠাগুলির লিঙ্কগুলি এসইও তে “ব্যাকলিংক” হিসাবে পরিচিত।

সাধারণভাবে, একটি পৃষ্ঠার যত বেশি লিঙ্ক থাকবে, এটির র‍্যাঙ্ক তত বেশি হবে। বলা হয়ে থাকে যে যত বেশী ভালো মানের ব্যাকলিংক থাকবে, র‍্যাংকের সম্ভাবনা তত বেড়ে যাবে।

৩) উপযোগিতা

বিষয়বস্তু প্রাসঙ্গিক এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে পারে। কিন্তু যদি এটি কার্যকর না হয়, Google অনুসন্ধান ফলাফলের শীর্ষে সেই বিষয়বস্তুটিকে অবস্থান করতে চাইবে না।

প্রকৃতপক্ষে, Google প্রকাশ্যে বলেছে যে “ভাল মানের ওয়েব কনটেন্ট বা আর্টিকেল” এবং “উপযোগী” এর মধ্যে একটি পার্থক্য রয়েছে।

উদাহরণ দিলে বিষয়টি সহজে বুজতে পারবেন। ধরা যাক যে আপনি “শিশুর যন্ত নেবেন যেভাবে” এটি লিখে Google এ অনুসন্ধান করলেন।

আপনি প্রথম যে ফলাফলে ক্লিক করলেন (“ফলাফল A”) তা শিশু বিষয়ে -এর বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ দ্বারা লেখা। এবং যেহেতু পৃষ্ঠাটিতে অনেক অভিজ্ঞ ব্যক্তির কনটেন্ট রয়েছে, সেহেতু অনেক লোক এটির সাথে লিঙ্ক করেছে। কিন্তু উক্ত কনটেন্ট আপনার চাহিদা হয়ত পুরনে ব্যর্থ হচ্ছে।

এবার এটিকে অন্য ফলাফলের সাথে তুলনা করুন (“ফলাফল B”)।

শিশুর যত্ন নিয়ে লেখা আরও একটি ওয়েব পেজ যেটি নতুন। নতুন হলেও সেটি খুব গোছালো এবং বেশিরভাগ মানুষের “শিশুর যত্ন” বিষয়ে বেষ্ট একটা কনটেন্ট। তুলনামূলকভাবে নতুন কেউ লিখেছেন। এবং তাদের ওয়েবসাইটে নতুন হওয়ার কারনে লিংক খুব বেশী নেই।

এসব ক্ষেত্রে Google মূলত “ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা সংকেত” এর উপর ভিত্তি করে উপযোগিতা পরিমাপ করে।

অন্য কথায় ব্যবহারকারীরা কিভাবে সার্চ ফলাফলের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করে। Google যদি দেখে যে লোকেরা সত্যিই একটি নির্দিষ্ট অনুসন্ধান ফলাফল পছন্দ করে, এটি একটি উল্লেখযোগ্য র‌্যাঙ্কিং এর মাপকাঠি হয়ে যায়।

Leave a Comment